ছয় বছর ধরে এক্স-রে মেশিন নষ্ট, দুর্ভোগ

 ছয় বছর ধরে এক্স-রে মেশিন নষ্ট, দুর্ভোগ


আসমা গ্রামের গৃহিণী আরিফা বেগম (৫৫) বলেন, গত সোমবার বুকে ব্যথা নিয়ে হাসপাতালে যান। জেলা শহরের ডায়াগনস্টিক সেন্টারে গিয়ে এক্স-রে করান। এতে তাঁর ৪৮০ টাকা দিতে হয়েছে। তবে শহরে আসা-যাওয়ার ভাড়া সব মিলে খরচ হয়েছে প্রায় হাজার টাকা।

* ২০১৫ সালের ফেব্রুয়ারি মাসের মেশিনটি বিকল হয়। পরে পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়। * ২০২০ সালে নতুন মেশিন বরাদ্দ দেওয়া হয়। কিন্তু ত্রুটি থাকায় তা চালু করা যায়নি।

রোগীরা বলেন, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের এক্স-রে মেশিন ঠিক থাকলে তাঁরা দুই-তিন গুণ কম খরচে পরীক্ষা করাতে পারতেন। দিনের পর দিন তাঁদের ভোগান্তি হচ্ছে। অথচ মেশিনটি ঠিক করা হচ্ছে না।

নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতালের রেডিওগ্রাফার আমিনুল ইসলাম, সরকারি হাসপাতালে ডিজিটাল মেশিনে এক্স-রে করাতে প্রতি প্রিন্ট ১৫০ থেকে ২০০ টাকা করে নেওয়া হয়।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা গেছে, ২০০৯ সালের মে মাসে একটি এক্স-রে মেশিন বরাদ্দ দেয় স্বাস্থ্য বিভাগ। দীর্ঘদিন বাক্সবন্দী থাকার পর ২০১২ সালের জানুয়ারি মাসে লোক নিয়োগ হলে মেশিনটি চালু করা হয়। ২০১৫ সালের ফেব্রুয়ারি মাসের প্রথম দিকে মেশিনটি বিকল হয়। পরে স্বাস্থ্য বিভাগের ন্যাশনাল ইলেকট্রো মেডিকেল ইকুইপমেন্ট মেইনটেন্যান্স ওয়ার্কশপ অ্যান্ড ট্রেনিং সেন্টার (নিমিউ) মেশিনটি পরিত্যক্ত ঘোষণা করে।

২০২০ সালের আগস্টে স্বাস্থ্য বিভাগ বারহাট্টা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নতুন একটি অ্যানালগ এক্স-রে মেশিন বরাদ্দ দেয়। কিন্তু বিভিন্ন যন্ত্রাংশে ত্রুটি থাকার কারণে নতুন মেশিনটি চালু করা যায়নি।

বারহাট্টা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য মাঈনুল হক বলেন, এই উপজেলায় ১ লাখ ৮৫ হাজারের মতো লোকের বসবাস। হাসপাতালের একমাত্র এক্স-রে মেশিনটি নষ্ট থাকায় শহরে গিয়ে রোগীদের বেসরকারি ক্লিনিকে এক্স-রে করাতে হচ্ছে।

স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মো. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, এক্স-রে মেশিনের বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে সর্বশেষ গত সেপ্টেম্বরেও জানানো হয়েছে।

সিভিল সার্জন মো. সেলিম মিয়া বলেন, এ ব্যাপারে স্বাস্থ্য বিভাগকে জানানো হয়েছে।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ